যতো সময় যাচ্ছে, মানুষ আরও বেশি সুখী হয়ে পড়ছেন। অফিসে কাজের চাপ বা স্কুল-কলেজে পড়াশোনার চাপ বাদে বাকি ‘ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি’ দৈনন্দিন জীবনে অধিকাংশেরই কমে গিয়েছে এখন। এছাড়া অফিসে, বাড়িতে, গাড়িতে এমনকী, ক্যাবেও এখন এয়ার কন্ডিশন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে শহরবাসীর। তাতে সূর্যের আলো শরীরে প্রায় লাগছে না বললেই চলে। এর ফলে দিন দিন বাড়ছে রোগের প্রকোপ ৷ সূর্যের আলো ঠিকমতো না লাগলে যে জিনিসটার শরীরে অভাব দেখা যায়, সেটা হল ভিটামিন ‘ডি’। খাবারের পাশাপাশি এই ভিটামিনের অন্যতম উৎস হল আলো। এর অভাবে হাড়ে ও ত্বকে সমস্যা হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, ভিটামিন ডি-র অভাব থেকেই হতে পারে ক্যানসারও ! ভিটামিন ডি-র অভাবে শরীরে কী কী রোগ হতে পারে, সেটা একবার দেখে নেওয়া যাক।
১. ফ্যাটিগনেস বা অবসাদ আরও বাড়তে পারে শরীরে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে সূর্যের আলো গায়ে না লাগলে মানুষের অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস সহ কিছু অংশ ভিটামিন ডি-র সাহায্যে মন চনমনে রাখতে সাহায্য করে। তাই এর অভাবে সবরকম কাজ করতেই অলসতা বাড়তে পারে।
২. ভিটামিন ডি-র অভাবে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতাও কমে যায় শরীরের। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ভিটামিন ডি শরীরে ১০ শতাংশ বাড়লে ক্যান্সার থেকে বাঁচার সম্ভাবনাও ৪ শতাংশ বেড়ে যায়। এছাড়া ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে প্রস্টেট ক্যান্সারের বিপদ চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে যায় শরীরে।
৩. ভিটামিন ডি-র অভাবে স্মৃতিভ্রংশ ও অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়া বাতের যন্ত্রণার পিছনেও রয়েছে সেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, Psoriatic Arthritis-এ যাঁরা ভোগেন, তাঁদের ৬২ শতাংশের শরীরেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ নেই।
৪. হার্টের অসুখ, স্কিতজোফ্রেনিয়া এমনকী স্নায়ুর সমস্যায়ও ভুগতে পারে মানুষ ভিটামিন ডি-র অভাবে। এছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় এর ফলে। তাই শরীরের যে কোনও গাঁটে ব্যাথা, হাড়ে ব্যাথা ইত্যাদি হলে, সেগুলিকে আর অবহেলা করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ ভিটামিন ডি-র অভাবে ছোট রোগও অনেক বড় আকার নিতে পারে দ্রুত।