আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

কুয়াকাটা কি দেখবেন?

সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত কুয়াকাটা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য কুয়াকাটার প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ নেই। নৈসর্গিক সৌন্দর্য অপরূপ। প্রকৃতির উপহার দীর্ঘ সাগর সৈকত সত্যিই বিস্ময়কর। বিশ্বের আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে কুয়াকাটা অন্যতম। কুয়াকাটার এই মনোরম সাগর সৈকতে গেলেই সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মতো বিরল, বর্ণিল দৃশ্য সহজেই অবলোকন করা যায়। তাও একই স্থানে দাঁড়িয়ে।

রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি বিলাসবহুল চেয়ারকোচসহ বিভিন্ন পরিবহন যোগে যেতে পারেন কুয়াকাটায়। সে ক্ষেত্রে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড অথবা সায়েদাবাদ টার্মিনালে গিয়ে টিকিট নিয়ে সকাল-বিকাল-রাত যে কোনো সময় বাসে যাত্রার ৮ ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে। যেতে পারবেন নদীপথে ডবল ডেকার লঞ্চযোগে। ঢাকা থেকে লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। পৌঁছে যাবেন ১৪ ঘণ্টায়। সকালে পটুয়াখালী জেলা শহরে পৌঁছে রিকশা, অটোরিকশায় চেপে বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রীবাহী বাসে কুয়াকাটা দুই ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন। এ ছাড়াও যেতে পারেন ভাড়ায়চালিত মিনিবাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলযোগে।

ঢাকা থেকে যেতে পারেন ডবল ডেকার লঞ্চযোগে। রাত ৯টায় ঢাকা ছেড়ে বরিশাল পৌঁছে বাসযোগে কুয়াকাটায়। বিদেশি অতিথি পর্যটকরা যদি ইচ্ছা করেন তাহলে দেশ ও বিদেশের যে কোনো ভ্রমণপিপাসুরা হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে ৪০ মিনিটে সরাসরি কুয়াকাটা হেলিপ্যাডে অবতরণ করতে পারেন। কুয়াকাটা পৌঁছে আপনি হেঁটেই আপনার বুকিং করা হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসে উঠতে পারবেন। রয়েছে সরকারি পর্যটন হলিডে হোমস, সরকারি ভিআইপি ডাকবাংলো, ব্যক্তিমালিকানাধীন হোটেল-মোটেল, গেস্ট ও রেস্ট হাউস। খাবার হোটেল রয়েছে কুয়াকাটায় পর্যাপ্ত। কম মূল্যে আপনি পরিবারসহ পছন্দসই তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন।

কুয়াকাটা নামের পেছনে রয়েছে আরকানীদের এদেশে আগমনের সাথে জড়িত ইতিহাস। ‘কুয়া’ শব্দটি এসেছে ‘কুপ’ থেকে। ধারণা করা হয় ১৮ শতকে মুঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতারিত হয়ে আরকানীরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে। তখন এখানে সুপেয় জলের অভাব পূরণ করতে তারা প্রচুর কুয়ো বা কুপ খনন করেছিলনে, সেই থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় কুয়াকাটা!

 

কি কি দেখবেন

সমুদ্র সৈকত: পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা “সাগর কন্যা” হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।

ফাতরার বন: সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম দিকে ম্যানগ্রোভ বন শুরু হয়েছে, যার নাম ফাতার বন। সংরক্ষিত বনভুমি ফাতরার বন ইতিমধ্যে দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে রয়েছে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, ফাতরা, গরান, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং বানর, শূকরসহ অসংখ্য জীবজন্তু ও পাখি। সমুদ্রসৈকত থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে এক ঘণ্টার যাত্রাপথে ফাতরার বনে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

কুয়াটারা ‘কুয়া’: কুায়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছে রাখাইন পল্লী কেরানীপাড়ার শুরুতেই একটা বৌদ্ধ মন্দিয়ের কাছে রয়েছে প্রাচীন কুপ গুলোর মধ্যে একটি কুপ। তবে বারবার সংস্কারের কারণে এর প্রাচীন রূপটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়াটির সামনেই রয়েছে প্রাচীন একটি বৌদ্ধ মন্দির, নাম সীমা বৌদ্ধ মন্দির। প্রাচীন এই মন্দিরে রয়েছে প্রায় সাঁইত্রিশ মন ওজনের অষ্ট ধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি।

কেরানিপাড়া: সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থেকেই শুরু হয়েছে রাখাইন আদিবাসীদের পল্লী কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদেও প্রধান কাজ কাপড় বুনন।

আলীপুর বন্দর: কুয়াকাটা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় একটি মাছ ব্যবসা কেন্দ্র আলীপুর। এ বন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলার বঙ্গোপসাগরে যায় মাছ ধরতে।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্বে রাখাইন আদিবাসীদের আরকেটি বাসস্থল মিশ্রিপাড়ায় রয়েছে আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির। এ মন্দিরেই রয়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি। এখান থেকে কিছু দূরে আমখোলা পাড়ায় রয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাখাইন বসতি।

গঙ্গামতির জঙ্গল: কুয়াকাটা সুমুদ্র সৈকত পূব দিকে শেষ হয়েছে গঙ্গামতির খালে গিয়ে। আর এখানে শুরু হয়েছে গঙ্গামতির বা গজমতির জঙ্গল। বিভিন্ন রককম গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে বন মোরগ, বানর ও নানা রকম পাখির।

 

কোথায় থাকবেন

 

সাগরকন্যা রিসোর্ট | বুকিং ফোন- ০৪৪২৮-৫৬০২০, ০১৭২০-২০৯০২৯, ০১৭১১-১৮১৭৯৮
রুমের ধরণ সাধারণ নভেম্বর-মার্চ এপ্রিল-অক্টোবর
ইকোনমি ডিলাক্স (ডাবল বেড) ১০০০ টাকা ১০০০ টাকা ৮০০ টাকা
প্রিমিয়ার ডাবল (২ সিঙ্গেল) ১২০০ টাকা ১২০০ টাকা ১০০০ টাকা
ডিলাক্স নন এসি (১ ডাবল) ১৮০০ টাকা ১৮০০ টাকা ১৫০০ টাকা
ডিলাক্স এসি (১ ডাবল) ২০০০ টাকা ২০০০ টাকা ১৮০০ টাকা
ভিআইপি স্যুট এসি ২৮০০ টাকা ২৮০০ টাকা ২০০০ টাকা

 

বিশ্বাস সি প্লেস | বুকিং ফোন- ০১৮৫-৬৬৯৯৯১১
রুমের ধরণ সাধারণ নভেম্বর-মার্চ এপ্রিল-অক্টোবর
৩ বেড এসি ২৫০০ টাকা ২৫০০ টাকা ২৫০০ টাকা
৩ বেড নন এসি ২০০০ টাকা ২০০০ টাকা ২০০০ টাকা
ফ্যামিলি রুম নন এসি ১৮০০ টাকা ১৮০০ টাকা ১৮০০ টাকা
টুইন বেড রুম ১৮০০ টাকা ১৮০০ টাকা ১৮০০ টাকা
হোটেল কুয়াকাটা ইন্টারন্যাশনাল | বুকিং ফোন- ০৪৪২৮-৫৬০৩১, ০১৭৫০-০০৮১৭৭
রুমের ধরণ সাধারণ নভেম্বর-মার্চ এপ্রিল-অক্টোবর
ডিলাক্স নন এসি (ডাবল বেড) ১৫০০ টাকা ১৫০০ টাকা ১০০০ টাকা
ডিলাক্স ডাবল এসি (১ ডাবল ১ সিঙ্গেল) ২৮০০ টাকা ২৮০০ টাকা ২০০০ টাকা
ফ্যামিলি স্যুট নন এসি (১ ডাবল ১ সিঙ্গেল) ২০০০ টাকা ২০০০ টাকা ১৮০০ টাকা
ফ্যামিলি স্যুট এসি (১ ডাবল ১ সিঙ্গেল) ৩৩০০ টাকা ৩৩০০ টাকা ৩৩০০ টাকা
হলিডে হোমস কুয়াকাটা | বুকিং ফোন- ০৪৪২৮-৫৬০০৪, ০১৭৫-০০১১৪৮৩
রুমের ধরণ সাধারণ নভেম্বর-মার্চ এপ্রিল-অক্টোবর
ইকোনমি রুম (২ সিঙ্গেল) ৬২৫ টাকা ৬২৫ টাকা ৫০০ টাকা
ডিলাক্স টুইন (২ সিঙ্গেল) ৯৫০ টাকা ৯৫০ টাকা ৬০০ টাকা
ডিলাক্স এসি (১ ডাবল ১ সিঙ্গেল) ১৫৬০ টাকা ১৫৬০ টাকা ১২০০ টাকা
ডিলাক্স এসি (২ ডাবল) ১৮৭৫ টাকা ১৮৭৫ টাকা ১৫০০ টাকা
আনন্দ বাড়ি | বু