নবাবী শব্দটি শুনলেই মনে হয় মাখা মাখা মাংস আর বাসমতী চালের সুবাসে মৌ মৌ করতে থাকা ভোজ। কিন্তু তাহলে নিরামিষভোজীদের কী হবে? তাদের কপালে কি নবাবী খাবার নেই? আছে নিশ্চয়ই। আজ দেখে নিন নবাবী খাবারেরই একটি নিরামিষ সংস্করণ। স্বাদে-গন্ধে মাংসের বিরিয়ানির চাইতে কোনো অংশে কম নয় এই সবজি পোলাও। অনেকগুলো উপকরণ থাকায় প্রতি কামড়েই আছে চমক। তৈরির সময়টাও লাগবে কম।
উপকরণ
২ কাপ (২০০ গ্রাম) চাল
২ টেবিল চামচ ঘি
আধা টেবিল চামচ তেল
১টা ছোট ফুলকপি
১টা মাঝারি গাজর
৬/৭টি সীম
আধা কাপ মটরশুঁটি
৮-১০টি মুগ ডালের বড়ি/ সয়া বল
১টি বড় পিঁয়াজ
১ টেবিল চামচ আদা কুচি
১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
৩টি কাচামরিচ মিহি কুচি
কয়েকটি তেজপাতা
৪/৬টি লবঙ্গ
৩/৪টি এলাচ
১টি শাহী এলাচ
৬/৭টি গোলমরিচ
১ ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
১ চা চামচ আস্ত জিরা
আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
অল্প কিছু কাজুবাদাম ও কিসমিস
গার্নিশের জন্য ধনেপাতা কুচি
প্রণালী
১) বড়ি বা সয়া বল ডিপ ফ্রাই করে রাখুন।
২) একটি প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে অর্ধেক পিঁয়াজ এবং অর্ধেক আদা ভেজে বেরেস্তা করে নিন। এরপর এতে দিন ফুলকপি, গাজর, সীম, মটরশুঁটি, এক চিমটি হলুদ এবং লবন। নেড়েচেড়ে ভেজে নিন ৫-৬ মিনিট। এরপর নামিয়ে রাখুন।
৩) প্রেশার কুকারে ঘি গরম করে নিন। এতে দিন তেজপাতা, জিরা, লবঙ্গ, গোলমরিচ, এলাচ এবং কয়েকটি কাজুবাদাম। ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না হাল্কা গোলাপি হয়ে আসে কাজুবাদাম। এরপর কিছু কিসমিস দিতে পারেন। বাকি পিঁয়াজ, আদা, রসুন, কাচামরিচ দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়। এরপর বড়ি দিয়ে কয়েক মিনিট ভেজে নিন। বাকি হলুদ, মরিচ গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো দিন। ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
৪) এতে চাল দিয়ে দিন। অল্প লবণ ছিটিয়ে দিন। ৪ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিন। মাঝারি আচে রান্না হতে দিন। একটা সিটি দিলেই সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৫) আচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে গেলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলুন। এর ভেতরে সবজিগুলো দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়ে সেদ্ধ পোলাওয়ের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর ঢাকনা বন্ধ করে রেখে দিন ১০ মিনিট। এতে সবজিগুলো সেদ্ধ হবে কিন্তু একটু কচকচেও থাকবে।
ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নবাবী সবজি পোলাও। এর সাথে দিতে পারেন রায়তা। ব্যাস, আমিষের কোনো দরকারই হবে না!