আসন্ন ১০ মাসে কমপক্ষে ৩১ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তবে দুইটি সিরিজ ছাড়া সব দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পরের বছরের জুলাই থেকে ঘরের মাঠে টানা চারটি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
২০১৫ সালটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক পরিবর্তনের গল্পের বছর। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে দেশে ফিরে বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিন আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সাথে। এরপর বহুত সময় কেটে গেলেও ২০১৬ সালে এখন পর্যন্ত কোনো পূর্ণাঙ্গ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলে নি টাইগাররা। তবে এই সেপ্টেম্বর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরছে বাংলাদেশ। সামনে আসছে আফগানিস্তান, এরপর আসবে ইংল্যান্ড। ২৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শুরু হবে টাইগারদের। এরপর ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক ব্যস্ত সময় যাবে টাইগারদের। তবে ঘরের মাঠে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজের পর সাত মাস কোনো হোম সিরিজ নেই টাইগারদের। এই দুই হোম সিরিজের পর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর, ফেব্রুয়ারিতে এক টেস্ট ম্যাচের জন্য ভারত সফর, মার্চে শ্রীলঙ্কা সফর, মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ (বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড)। এরপর জুনে ইংল্যান্ডে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তারপর ঘরের মাঠে সিরিজ পাবে টাইগাররা।
২০১৫ সালে হোয়াইটওয়াশ করা পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই ঘরের মাঠে খেলায় ফিরবে টাইগাররা। জুলাইয়ে হবে এই সিরিজ। দুইটি টেস্ট, তিনটি একদিনের ম্যাচ ও একটি টি-টোয়েন্টির পূর্ণাজ্ঞ সিরিজ হবার কথা রয়েছে। পাকিস্তান দল দেশে ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে শুধু মাত্র টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবে অজিরা। এরপর ২০১৭ সালে আর সিরিজ নেই টাইগারদের।
এরপর ২০১৮ সালে ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী ফিরতি সফরে আসবে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। এরপর ফেব্রুয়ারীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ হবার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মৌসুমে অনেক ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচী অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।