খাবেন তো ভারি এককাপ চা। তা দোকানদার মাটির ভাঁড়ে দিলেন না প্ল্যাস্টিকের কাপে, তা নিয়ে কি খুব মাথাব্যথা থাকে আপনার? চাইলেই যে সর্বত্র মাটির ভাঁড় পেয়ে যাবেন, তা-ও নয়। তা হলে কি আর চা খাবেন না? অগত্যা জেনেবুঝেই 'বিষ' পান করবেন, এবং তা শরীরের ক্ষতি হবে জেনেও। কিন্তু, ক্ষতিটা যে চরম, বিশেষত, যে কোনও পুরুষের কাছে, তা জানেন কি?
না, শুধু প্লাস্টিকের কাপ বলে নয়। দৈনন্দিন জীবনে অনেক ক্ষেত্রে, অনেক কিছুতেই আমরা প্লাস্টিক কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকি। তা পায়ের জুতোজোড়া হোক বা পারফিউম কিংবা কার্পেট, ওয়ালপেপার বা নেলপালিশ, সবকিছুতেই রয়েছে প্লাস্টিক কেমিক্যাল। গবেষকরা বলছেন, এই সমস্ত প্লাস্টিক রাসায়নিক যে কোনও পুরুষের যৌনজীবন চৌপাট করে দিতে পারে। মানে এই নয়, পুরুষের যৌন শিথিলতার নেপথ্যে এই ক্ষতিকর রাসায়নিক। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্পার্মের যে স্বাভাবিক গতি, তা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় প্লাস্টিক কেমিক্যাল। স্পার্ম এক অর্থে জবুথবু হয়ে পড়ে। ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারে না। সক্রিয় স্পার্মের এই অপ্রতুলতাই পুরুষকে বন্ধ্যাত্বের দিকে ঠেলে দেয়। বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিকে থাকা DEHP বা থ্যালেটই এর জন্য দায়ী। বিভিন্ন খাবার ও পানীয় ছাড়াও ত্বকের সংস্পর্শে বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে এই থ্যালেট শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ১৮ থেকে ২০ মধ্যে বয়স, এমন ৩০০ পুরুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। দেখা গিয়েছে, যাদের শরীরে যত বেশি থ্যালেট DEHP মিশেছে, তাদের স্পার্মের অবস্থা ততটাই করুণ। মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করে সহজেই থ্যালেটের মাত্রা নির্ধারণ করা যায়।