বৃহস্পতিবার ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনার পর বাংলাদেশ সফর অব্যাহত রাখার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো খবর দিয়েছে।
বাংলাদেশে গুলশান হামলা এবং বিদেশীদের হামলার ঘটনার পর তাদের এই সফরটি নিয়ে যে অনিশ্চয়তার তৈরি হয়েছিল, এই সিদ্ধান্তে সেটি কেটে গেলো।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণ করে যায় ইংল্যান্ডের একটি দল।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইংলিশ টেস্ট টিমের ক্রিকেট অ্যালিস্টার কুক এবং ওয়ানডে ক্যাপ্টেন ওয়েন মর্গানসহ বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ঝুকির মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়।
এই সভার পর ইংল্যান্ড ক্রিকেটের পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বলেন, বাংলাদেশে ইংল্যান্ডের সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে ।
তবে এর সময়ে, সফর চলার সময়েও পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, খেলোয়াড় এবং ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার ঝূকির আগাগোড়া মূল্যায়ন, বর্তমান পরিস্থিতির গভীর পর্যবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি। সেসব পরামর্শ এবং সহায়তার উপর আমাদের আস্থা আছে।
একটি খোলামেলা বৈঠকে খেলোয়াড় এবং ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গ্রীষ্মের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর পর সফরের দল চূড়ান্ত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মি. স্ট্রাউস বলেছেন, সবসময়ের মতো আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবো, এবং তা অব্যাহত থাকবে সফরের সময়েও।
সামনের মাসে দুইটি টেস্ট এবং তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে ৩০ সেপ্টেম্বর দুই মাসের এক সফরে ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
কিন্তু গুলশান হামলার ঘটনার পর এই সফরটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। গত বছরের শেষের দিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল।
গত সপ্তাহেই ইসিবির তিন সদস্যের একটি দল বাংলাদেশের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সফর করেন। তারা সম্মত হয়েছেন যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেসব পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, তাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী সফরটি করা যেতে পারে।
ক্রিকইনফো ধারণা করছে যে, ইংল্যান্ড দলের কোন ক্রিকেটার বা তাদের পরিবার যদি এই টিমে আসতে না চায়, তাহলে তাদের এই সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি রয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের।
সেখানে বলা হয়েছে, দেশটিতে পুনরায় সন্ত্রাসী হামলার হুমকি রয়েছে, তাই ব্রিটিশ নাগরিকদের সাবধানে, নিজেকে প্রকাশ না করে চলাফেরা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভিড় বহুল এলাকা, বিশেষ করে পশ্চিমা নাগরিকরা নিয়মিত যাতায়াত করেন বলে পরিচিতি রয়েছে, এমন স্থানগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
২ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে ভারতে যাবে ইংল্যান্ড টেস্ট দল।