বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর দ্বিতীয় মৌসুমের পর তৃতীয় মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় আড়াই বছর। তবে এবার মাত্র এক বছরের মাথায় আসতে চলেছে দেশের সবচেয়ে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টি২০ টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। এবং শোনা যাচ্ছে এবারের আসর হতে চলেছে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে আকর্ষনীয়। নতুন দুইটি দলই শুধু যোগ হচ্ছে না, পাশাপাশি ভেন্যু হিসেবেও নতুন কোন শহরের অভিষেক হতে পারে।
২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল মোট ছয়টি বিভাগীয় দল — ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট। পরের মৌসুমে দলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাতে। নতুন দল হিসেবে আসে রংপুর। কিন্তু তৃতীয় মৌসুমে সবকিছু ঢেলে সাজিয়ে, নতুন করে যাত্রা শুরু হয় বিপিএলের। এবার নতুন দল হিসেবে কুমিল্লা এলেও, বাদ পড়ে পূর্বের দুইটি দল — খুলনা ও রাজশাহী। কিন্তু আশা করা হচ্ছে, এবার নতুন যে দুইটি দল যুক্ত হবে, সে দুইটি প্রতিনিধিত্ব করবে খুলনা আর রাজশাহী বিভাগেরই।
এ প্রসঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা বলেন, “এবার আমরা দুইটি নতুন দল আর একটি ভেন্যু যোগ করব। গতবারও আমরা এ ব্যাপারে ভাল সাড়া পেয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে গতবার যারা আগ্রহ দেখিয়েছিল, তাদেরকে আমরা সুযোগ করে দেব এই জমজমাট আয়োজনে সামিল হওয়ার।”
সিনহা আশাবাদ ব্যক্ত করেন গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গী হামলার পর দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা একটি সফল বিপিএল আয়োজনের পথে কোনরকমের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। পাশাপাশি তিনি আরও জানান নভেম্বরে বিপিএল আয়োজনের কারণ হল ওই সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ঘরোয়া টুর্নামেন্টের চাপ কম থাকে, তাই এ সময়ে বিপিএল আয়োজন করে তারা সম্ভাব্য সেরা বিদেশীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান।
সিনহা বলেন, “জঙ্গী হামলা মোকাবেলায় সবরকমের পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিসিবি খুবই আন্তরিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শতভাগ নিশ্চিত করার ব্যাপারে। সারা বিশ্বেই জঙ্গী তৎপরতা বাড়ছে, তাই বলে তো কেউ ঘরে বসে থাকবে না। জঙ্গী নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। আশা করি ঠিক সময়ই মাঠে গড়াবে এবারের বিপিএল।”
বিসিবি কর্তৃক প্রণীত ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষপঞ্জি অনুসারে, বিপিএলের চতুর্থ আসর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ৬ নভেম্বর থেকে। তার মাত্র দিন পাঁচেক আগেই শেষ হবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচের। আগের তিন মৌসুমে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিপিএলের কিছু ম্যাচ। এবার হয়ত নতুন কোন শহরেরর মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে এই মারমার কাটকাট ক্রিকেট আয়োজনের সুবাতাস।