প্রাথমিকে ৬০ শতাংশ নারী কোটা বহাল রেখেই জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
সম্প্রতি সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক রমজান আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালা করার যে আলোচনা চলছে, এবারের নিয়োগে সেটি প্রযোজ্য হবে না। আগের নীতিমালার আলোকেই হবে এই নিয়োগ। অর্থাৎ ৬০ শতাংশ নারী কোটা এবং মেয়েদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা এইচএসসি পাসই থাকছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালাটি এখনও চূড়ান্ত নয়। এটি জনপ্রশাসনে যাবে। সেখান থেকে সচিব কমিটিতে যাবে। এরপর চূড়ান্ত হবে। এতে কিছু সময়তো লাগবেই। কারণ এটা বড় সিদ্ধান্তের বিষয়। ফলে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ওইটা নাও পড়তে পারে।
ডিপিই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪ সালের স্থগিত হওয়া ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমও চলছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হবে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় রাজস্ব খাতে নতুন করে আরও ১০ থেকে ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা আরও শিক্ষক নিয়োগ দেব।
পাশাপাশি চার বছর আগে মামলায় আটকে যাওয়া ১০ হাজার জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানান তিনি।
সারাদেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৪ হাজার ৮২০টি। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। ২০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। এসব পদ পূরণে রাজস্ব খাতে নতুন করে ১০ থেকে ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
গত ২২ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ৩৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় আগামী পাঁচ বছরে দেড় লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) অনুমোদন দেয় একনেক। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে জুলাই মাসে।