শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের নাব্য সংকটের ফেরি চলাচলে প্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার অল্প পানিতে কমসংখ্যক যান নিয়ে ওজন কমিয়ে চলাচল করছে ছোট আকারের ৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারের চেষ্টা চলছে। বিআইডব্লিউটিএ ইতোমধ্যে ভারী যানবাহনকে বিকল্প পথে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে। শিমুলিয়ায় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকলেও কাঁঠালবাড়ি ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পারাপারের এখন অপেক্ষায় রয়েছে দুই শতাধিক যান। ঘাটমুখী গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘাটের অস্বাভাবিক অবস্থা এড়াতেই এ ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ছোট আকারের এবং জরুরি যানগুলোকে যেতে দেওয়া হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচলে অচলঅবস্থা দেখা দেয়ায় উভয় পাড়ে দেখ দিয়েছে যানজট আর মানুষের ভোগান্তি।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটস্থ সহকারী মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালিদ জানান, ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট আকারের ৭টি ফেরি চলছে। তবে এই ছোট ফেরিগুলোও স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারছে না। প্রায়ই ফেরির তলা মাটিতে আটকে যাচ্ছে। এতে ফেরির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তারপরও পরিস্থিতি মোকাবলায় ফেরিগুলো চালাতে হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ পদ্মার তলদেশের পলি অপসারণের ড্রেজিং করছে। এখনও চ্যানেলগুলো চলাচলের উপযোগী হয়নি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সচল করা হবে এ নৌ রুটিটি। তবে যাত্রী পারাপারের জন্য ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পীটবোড চলাচল করছে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে পদ্মার পানি ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় এ রুটে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটছে। একরকম অচলাবস্থা দিন দিন আরও প্রকট আকার ধারণ করছে।