আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরির অচলাবস্থা

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের নাব্য সংকটের ফেরি চলাচলে প্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২১ টি ফেরির মধ্যে ছোট আকারের ৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারের চেষ্টা চলছে। এখন অল্প পানিতে কমসংখ্যক যান নিয়ে চলাচল করছে ছোট আকারের ফেরি কেতকী, করবী, কিশোরী, কামিনী, কাকলী, ঢাকা, ফরিদপুর ও কুমিল্লা। বিআইডব্লিউটিএ ইতোমধ্যে ভারি যানবাহনকে বিকল্প পথে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে। শিমুলিয়ায় শতাধিক যানবাহন পরাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। কাঁঠালবাড়ি ঘাটেও একই অবস্থা। পুলিশ ফরিদুপরের ভাঙ্গা এলাকা থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটমুখী গাড়িগুলোকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। অনুরূপ শিমুলিয়া ঘাটেও মাওয়া চৌরাস্তার পর গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।ঘাটের অস্বাভাবিক অবস্থা এড়াতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ছোট আকারের এবং জরুরি যানগুলোকে যেতে দেওয়া হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচলে অচলতায় উভয়পাড়েই যানজট আর মানুষের ভোগান্তি। ঈদে কমস্থলে ফেরা মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই। এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটস্থ সহকারী মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালিদ জানান, সঙ্কট এত বেশি ঈদে ঘরমুখো মানুষকে বিশেষ সেবা দেয়া তো দূরের কথা স্বাভাবিক সেবাই দেয়া যাচ্ছে না।

ঈদের এই সময় অন্যান্য বার এক দিনে ৪ হাজারেরও বেশি যান পার করা হয়েছে। সেখানে বুধবার মাত্র ১৩৪৪টি ছোট যান পার করা হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আসার কথা ছিল একদিনে ৪০ লাখেরও বেশি। কিন্তু বুধবার আয় হয়েছে মাত্র প্রায় ৬ লাখ। বিআইডব্লিউটিসি এখনো যে ফেরিগুলো চালাচ্ছে তা ঝুঁকি নিয়ে চলছে। প্রায়ই ফেরির তলা মাটিতে আটকে যাচ্ছে। এতে ফেরির মারাতœক ক্ষতি হচ্ছে। তারপরও পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফেরিগুলো চালাতে হচ্ছে। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের মতো হালকা যানবাহনসহ যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে ফেরি দিয়ে। তিনি আরও বলেন বিআইডব্লিউটিএ ৭টি ড্রেজার দিয়ে পদ্মার তলদেশের পলি অপসারণের কাজ করছে। এখনও চ্যানেলগুলো চলাচলের উপযোগী হয়নি। আরও ২/১দিন লাগবে বলে তারা জানিয়েছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সচল করা হবে এ নৌ রুটিটি। তবে যাত্রী পারাপারের জন্য ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পীটবোড চলাচল করছে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে পদ্মার পানি ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় এ রুটে ফেরি চলাচল মারত্মকভাবে বিঘœ ঘটছে। এখন একরকম অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন আরও প্রকট আকার ধারণ করছে।