জেলায় ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে ৭ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় উজানের ঢলে ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নজমুল হাসান। পানি উন্নয়ন বিভাগ সূত্র জানায়, তুলশীগঙ্গা নদীর তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মেরামত কাজ শেষ হলেও সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বিভাগের লোকজন। অপর দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ ও বানিয়াপাড়া এলাকায় সড়কের ওপর হাটু পানি হওয়ায় ধীরে ধীরে যান চলাচল করছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সদরের বম্বু ইউনিয়নের সোটাহার, ধারকী, চক দাদরা, বানিয়াপাড়া, ঘোনাপাড়া, নামা ধারকী, আমদই ইউনিয়নের সুন্দরপুর, মুরারীপুর, রাংতা, ঘোনাপাড়া, গুয়াবাড়ি, পাইকর, গোপালপুর, পলিকাদোয়া, কাদোয়া, চান্দাপাড়া, মাধাইনগর, আমদই ও কেন্দুলী মাঝিপাড়া গ্রামের গ্রামের বিস্তৃীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন । ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যাওয়ায় গুয়াবাড়ী ঘাট ও মুরারীপুর, ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর, কুসুম্বা, মোহাম্মদপুর, আওলাই ইউনিয়নের বিস্তৃীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলার তুলশীগঙ্গা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা ছোট যমুনা ও তুলশীগঙ্গা নদীন পানি বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মারজান হোসেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তুলশীগঙ্গা ও ছোট যমুনার দুই পাশে পানি উপচে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে এবং ৬০ হেক্টর জমির সবজি বিশেষ করে পটল, শষা, বেগুন , করলা ও কাঁচা মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়। উজানের ঢলে জেলার ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল জলিল মিয়া। পানি বৃদ্ধি পেলেও বন্যা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে বাসস’কে জানান, জেলা প্রশাসক মো: মোকাম্মেল হক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।