নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বরাব এলাকায় একটি বাড়িতে প্রচন্ড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে বাড়ির দ্বিতীয়তলার দেয়াল ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণে আগুন লেগে দু’জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপার মঈনুল হক শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটায় জানান, ঘটনাস্থলে স্পিøন্টার, বল বা বোমার কোনো উপাদান বা এক্সক্লুসিভ পাওয়া যায়নি। তাই এটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নয় বলে মনে হচ্ছে। তারপরেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা-সাড়ে তিনটার দিকে বরাব কবরস্থান রোডের ৪৪৭ নম্বর হোল্ডিংয়ে ‘কুমিল্লা হাউজ টু’ নামের ওই দো’তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর ভবনের পশ্চিম পাশের দেয়াল এবং দোতলার পার্টিশন দেয়াল ধসে পাশে তাজুল ইসলামের টিনশেড বাড়ির ওপর পড়ে। এলাকাবাসীর ধারণা গ্যাসের লিকেজ থেকে বাড়ির ভিতরে গ্যাস জমে ছিলো।
কেউ ম্যাচ বা অন্যকিছু ধরালে গ্যাসে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর ওই বাড়িতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই বাড়ির মালিক আবুল খায়েরের ছেলে ইব্রাহিম (২২) ও শ্যালক আয়নালকে (২৬) দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সকাল ছয়টার দিকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা এসে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেন। পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, ঘটনাটি বোমা বিস্ফোরণ কিনা তা জানতে পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা ওই বাড়ির ভেতরে সকালে তল্লাশি শুরু করে। পাশের টিনশেড বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম জানান, রাত তিনটার দিকে হঠাৎ প্রচন্ড শব্দে আমাদের বাড়ির উপর ভারি কিছু পড়ার শব্দ পাই। আমরা মনে করি ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হয়েছে। বাইরে এসে দেখি দো’তলার দেয়াল ভেঙে আমার ভাড়াটিয়া ঘরের ওপর পড়েছে। তবে তারা কেউ আহত হয়নি। ঘটনার পরে বাড়ির মালিক আবুল খায়ের, কেয়ারটেকার শরিফুল ইসলাম এবং শরিফুলের স্ত্রী নার্গিস বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় বলে পুলিশ জানায়।