প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার সকালে রাশিয়ার ওপর নয়া নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করেছেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা একথা জানান। হোয়াইট হাউস সূত্রে দিন পাঁচেক আগেই এই নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে গত মঙ্গলবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিল পাশ হয়। সেখানে নিষেধের পক্ষে ৪১৯টি ভোট পড়ে। তখন থেকেই কিছুটা স্পষ্ট হয়ে যায়, এই নিষেধ নিয়ে চাপের মুখে পড়তে চলেছেন প্রেসিডেন্ট। শেষমেশ তা-ই হলো। সিনেটেও সমর্থন পেয়ে নিষেধজ্ঞা প্রস্তাব ট্রাম্পের টেবিলে পৌঁছে। কূটনীতিকদের দাবি, বস্তুত ট্রাম্পের এতে স্বাক্ষর না করার উপায় ছিল না। তবে এর ফলে রাশিয়ার ওপর থেকে কোনও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নিজের ক্ষমতাও খর্ব হল।
২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, ক্রিমিয়ায় রুশ দখলদারি ও সিরিয়ায় রুশ আগ্রাসন মূলত এসব কারণেই নতুন করে মস্কোর ওপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ছাড়াও অন্য কারণে উত্তর কোরিয়া ও ইরানকেও এ তালিকায় রাখা হয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর পরই কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে। আগামী মাস থেকেই মস্কোয় কর্মরত মার্কিন কূটনীতিক ছাঁটাইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুতিন প্রশাসন। রুশ প্রতিরক্ষা ও শক্তির ক্ষেত্রে এই নিষেধের প্রভাব পড়বে।