বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভেজাল জ্বালানি বিক্রির দায়ে ২০৫টি এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি রিফাইনারীসমূহের অপরিশোধিত কনডেনসেট বা নিম্নমানের পণ্য খোলাবাজারে পাওয়ার ফলে দেশে ভেজাল জ্বালানি বিক্রির প্রবণতা তৈরি হয়। বিপিসির অনুসন্ধানে বিষয়টি দৃশ্যমান হলে ভেজাল জ্বালানি তেলের বিক্রয় বন্ধ ও মান নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তিনটি ফিলিং স্টেশনের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়। ১২টি ফিলিং স্টেশনের বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। ৩৫৮টি প্যাকড পয়েন্ট ডিলার ও ২২৪টি এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ১৫৫টি প্যাকড পয়েন্ট ও ২০৫টি এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ তিনি বলেন, বেসরকারি মালিকানাধীন প্ল্যান্টে উৎপাদিত সকল পণ্য বিপিসি কর্তৃক ক্রয় ও মনিটরিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় দেশব্যাপী নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।
বেসরকারি ৪টি রিফাইনারীর অনুকূলে কনডেনসেট সরবরাহ স্থগিত রাখা হয়। বর্তমানে সকল বেসরকারি রিফাইনারীর অনুকূলে কনডেনসেট সরবরাহ প্রদান করা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এবং দেশব্যাপী নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ভেজাল জ্বালানি বিক্রি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে দাবি করে নসরুল হামিদ বলেন, বেসরকারি রিফাইনারীসমূহের অপরিশোধিত পণ্য হ্রাসকৃত মূল্যে ক্রয় করে আমদানিকৃত পণ্যের সাথে ব্লেন্ডিং করে বিপণন করা হচ্ছে। দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহীত এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।