পাকিস্তান ক্রিকেটে অল্প সময়ে হয়ে উঠেছিলেন আস্থার প্রতীক।বিদায়টা হয়তো সুখকর হচ্ছে না স্পিনার সাঈদ আজমলের। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আইসিসির নজরে পড়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন। পরে অবশ্য অ্যাকশন শুধরে দলে ফিরেছেনও। কিন্তু ততদিনে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। ব্যাটসম্যানদের ব্যাট-প্যাড-গ্লাভসে বিষাক্ত ছোবল দেওয়া আজমল যেন নির্বিষ এক নবিশ বোলার হয়ে ফিরলেন।
পরিস্থিতি আর পারফরমেন্সের নিম্নগামীতা দেখে পিসিবি একসময় তাকে দল থেকেই ছুড়ে ফেলে। এরপর অনেকটা হতাশার সময়ই পার করছেন এ পাক স্পিনার। জাতীয় দলে আবারো ফেরার আশাও হয়তো ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি যে তার মনোজগতে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে সেটা বোঝা গেল তার সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যে। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আইসিসির দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল দুনিয়া নিউজের খেলা বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও বিশ্লেষক জয়নব আব্বাসকে নাকি আইসিসির এই দ্বৈত নীতির কথা বলেছেন আজমল। উপস্থাপকের কাছে তিনি দাবি করেছেন, ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিং নিজেও চাকার। পরে এক টুইট বার্তায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন ঐ উপস্থাপক।
আজমলের মতে বোলিংয়ের সময় হরভজনের বাহু নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির অনেকটা বেশিই বেঁকে যায়। ভাজ্জির বিষয়টি নিয়ে একরকম চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছেন এ পাক অফস্পিনার। তার অভিযোগে ছিল চাকিংয়ের ব্যাপারে আইসিসির আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ না হওয়ার বিষয়টিও। এখন দেখার ভারতীয়দের পক্ষ থেকে আজমলের জন্য কি তোপ দাগা হয়।
আজমল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টেস্টে ১৭৮, ওয়ানডেতে ১৮৪ ও টি-টুয়েন্টিতে ৮৫ উইকেট নিয়েছেন।