এটা মূলত দাতের সেনসিটিভিটির সমস্যা! বিভিন্ন কারণে তা হতে পারে! দাঁতের এই শির-শির করা অবস্থাকেই বলা হয় ডেন্টাল সেনসিটিভিটি যা ইরেশান বা এন্ট্রিশন থেকে হয়, এই এন্ট্রিশন বা ইরেশান হওয়ার কারণ হচ্ছে দাঁতের উপরের সবচেয়ে শক্ত আবরণ ... যখনই কোনো দাঁত-এ এই ধরনের শিরশির করবে তখনই সেই দাঁতটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোনো ফাঁটা বা ফাটল আছে কিনা এবং কোনো কারণে এনামেল ক্ষয় হয়েছে কিনা। একটি দুটি দাঁত বা অনেকগুলো দাঁত হঠাত্ কখনো শিরশির করতে পারে। দাঁত শির শির করার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। যেমন অনেকেই ডাক্তারের কাছে এসে বলেন আমার দাঁতটি শির-শির করে, পানি খেতে পারি না, কেউ বা বলেন চা খেতে পারি না। আবার কেউ বলেন ঠান্ডা গরম কিছুই খেতে পারি না।
দাঁতের এই শির-শির করা অবস্থাকেই বলা হয় ডেন্টাল সেনসিটিভিটি যা ইরেশান বা এন্ট্রিশন থেকে হয়, এই এন্ট্রিশন বা ইরেশান হওয়ার কারণ হচ্ছে দাঁতের উপরের সবচেয়ে শক্ত আবরণ এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়া। আমরা জানি একটি দাঁতের গঠন প্রক্রিয়ায় প্রথম আবরণটিই হচ্ছে এনামেল, এই এনামেল আমাদের শরীরের সবচেয়ে শক্ত অংশ। যখনই কোনো কারণে এই এনামেল ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তখন দাঁতের পরবর্তী অংশ ডেন্টিন বেরিয়ে আসে। যেহেতু ডেন্টিনের নিচের অংশেই নার্ভ, আর্টারি, ব্লাড ভেসেলস্ ইত্যাদি থাকে সেহেতু দাঁতটি খুবই স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং তখনই ঠান্ডা বা গরম কিছু / তরল পদার্থ লাগার সাথে সাথেই দাঁতটি শির-শির করে।
চিকিৎসা: আজকাল এ ধরণের সমস্যার অতিদ্রুত চিকিত্সা নিশ্চিত করা যায়
প্রথমত: চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে প্রথমেই মাড়ি ও দাঁতের সংযোগস্থল থেকে সমস্ত পাথর বা ডেন্টাল প্লাক পরিস্কার করা প্রয়োজন। এই ধরণের কাজে সাধারণত: ডেন্টাল স্কেলিং করা হয় যেমন- আলট্রাসনিক স্কেলিং এর মাধ্যমে সমস্ত দাঁতের গোড়া ও মাড়ি থেকে খাদ্য কনা পরিস্কার করা।
দ্ব্বিতীয়ত: ক্ষয়ে যাওয়া অংশটুকু বা ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকু আজকাল খুবই আধুনিক পদ্ধতিতে লাইট কিউর ফিলিং দিয়ে ভর্তী করে দেয়া যাতে ক্ষয়ে যাওয়া এনামেল এবং ডেন্টিন আবার পুরণ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে গ্লাস আইনোমার ফিলিং দিয়েও দাঁতটি ভর্তী করা যায়।