চিকিতৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতে ঠাণ্ডা লাগলেও গোসল করতে হবে ঠাণ্ডা পানিতেই। পাল্টাতেই হবে গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
সকালে শরীর বেয়ে যখন ঠাণ্ডা জলের ধারা নেমে আসে, শিউরে ওঠে শরীর। ঠিক তখনই গভীর শ্বাস টেনে নেয় শরীর। শরীরে ঢোকে অনেক বেশি অক্সিজেন। এই অক্সিজেন শরীরকে গরম রাখে। হার্ট রেট বেড়ে যায়। গোটা শরীর দিয়ে রক্ত ছোটাছুটি করে দ্রুত। ফলে সারাদিনের এনার্জি সঞ্চয় করে নেয় শরীর। নিয়মিত ঠাণ্ডা পানিতে করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।
বিষেশজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি পুরোটাই বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া৷ আসলে আমাদের শরীর দু-ধরণে ফ্যাট থাকে৷ একটি হোয়াইট ফ্যাট অপরটি ব্রাউন ফ্যাট৷ আমাদের শরীরে হোয়াইট ফ্যাটের কোনও প্রয়োজন নেই৷ অতিরিক্ত ক্যালোরি খেলে এই ফ্যাট শরীরে জমা হয় ও ফ্যাট বার্ন হয়না৷ এই ধরণের ফ্যাট কোমর, পিঠের নিচের অংশ, গলা ও উরুতে জমা হয়৷
অন্যদিকে, ব্রাউন ফ্যাট শরীরের উপযোগি৷ এটি শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে৷ যখনই আমাদের ঠান্ডা লাগে তখনই ব্রাউন ফ্যাট সক্রিয় হয়৷ অন্যদিকে, আমরা যখন ঠান্ডা জলে স্নান করি তখনই ফ্যাট গলতে শুরু করে, অর্থাৎ আপনার বেড়ে যাওয়া চর্বি কমতে শুরু করে৷