আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

রোগীর পেট কেটে পাওয়া গেলো ১১৮১৬টি পাথর!

পেটে অসম্ভব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভারতের বাকালপুর মথুরার এক নির্মাণ ব্যবসায়ী। কিন্তু চিকিৎসকদের হাজারো পরীক্ষায় জানা যাচ্ছিলো না ব্যথাটা কেন কোথা থেকে উঠছে। গত দুই বছর ওষুধ খেয়েই  ব্যথার উপশম করেছেন। অবশেষে সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়।  ব্যথা নিয়ে ভর্তি হোন রাজস্থানের সাই মান সিং হাসপাতালে। সেখানের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে তার পিত্ত থেকে বের করে ১১হাজার ৮শ ১৬ পাথর। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে গালস্টোন। ব্যক্তির গলব্লাডারে যে পাথর জমে তাকেই গালস্টোন বলে।

৪৬ বছর বয়সী বিনোদ শর্মা জানতেনই না তার দেহের ভিতর এতগুলো পাথর জমে রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মত তিনি অনেক পরীক্ষা করিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও পরীক্ষায় গলব্লাডারের পাথর রয়েছে এমন তথ্য ধরা পড়েনি। এমনকি সিটি স্ক্যানে পাথর থাকার কথা জানতে পারেননি তিনি। গত ২৩ নভেম্বর তিনি ভর্তি হোন তার ৭দিন পর ল্যাপরোস্কোপিক পদ্ধতিতে তার অস্ত্রোপচার হয়।  

বিনোদ শর্মার চিকিৎসা করে সাই মান সিং হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: জিবেন কানকারিয়া। তিনি বলেন, সিটি স্ক্যান রিপোর্ট পাবার পর আমরা ধারণা করেছিলাম তিনি পেটের অকালকালোস চলেসিস্টাইটিস পীড়া ভুগছেন। কিন্তু আমরা যখন অস্ত্রোপচার করতে যাই তখন দেখতে পাই তার গলব্লাডারটি পাথর দিয়ে ভরা। এর আকার স্বাভাবিক গলব্লাডারের চাইতে দ্বিগুণ। ৩.২ এমএম হবে।  তখন আমাদের মনে সন্দেহ হয় এই গলব্লাডার কেটে দেখতে হবে এতে কি পরিমাণ পাথর জমা হয়েছে। পড়ে গলব্লাডারের অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেই আমরা। কিন্তু  বিনোদ শর্মার ডায়াবেটিস ছিল । এবং তা অনেক উচ্চমাত্রায় ছিল। আমরা ডায়াবেটিস কমার অপেক্ষায় রইলাম। এরপর ডায়াবেটিস কমলে তারা গলব্লাডার থকে কালো রংয়ের পাথর বের হয়। এই পাথর গণনা করতে তিন দিন লেগেছে। ১০ হাজার ৮১৬ পাথর পাওয়া যায়। গলব্লাডারের রং সাধারণত  বাদামী রংয়ের । কারণ ওইসব পাথর কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি হয়। গলব্লাডারে তিন ধরনের স্টোন থাকে। মিক্স স্টোন, কোলেস্টেরল স্টোন ও পিগমেন্ট স্টোন। বিনোদ শর্মার ৭০% পিগমেন্ট ও ৩০% কোলেস্টেরল স্টোন ছিল।

কি কারণে বিনোদ শর্মার এই স্টোন হয়েছে নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিনোদ শর্মা এখন সুস্থ আছেন।