বাংলাদেশের জনসংখ্যা
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ পরিবেশ পরিচিতি সমাজ বইয়ের অধ্যায়-১০ ও ১১ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শূন্যস্থান পূরণ নিয়ে আলোচনা করছি।
অধ্যায়-১০
১৫. আমাদের দেশে সাক্ষরতার হার অনেক _।
উত্তর : আমাদের দেশে সাক্ষরতার হার অনেক কম।
১৬. বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের নূ্যনতম বয়স _।
উত্তর : বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের নূ্যনতম বয়স ১৮।
১৭. আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক _।
উত্তর : আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী।
১৮. জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি দেশের জন্য _ নয়।
উত্তর : জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
১৯. খাদ্যের ওপর _ বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব রয়েছে।
উত্তর : খাদ্যের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব রয়েছে।
২০. বাসস্থান তৈরির জন্য _ জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
উত্তর : বাসস্থান তৈরির জন্য আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
২১. বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি _।
উত্তর : বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নিরক্ষর।
২২. প্রতি _ জন ব্যক্তির জন্য মাত্র একজন যোগ্যতাসম্পন্ন বাজার রয়েছে।
উত্তর : প্রতি ৪০৪৩ জন ব্যক্তির জন্য মাত্র একজন যোগ্যতাসম্পন্ন বাজার রয়েছে।
২৩. জনসংখ্যার হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে তিনটি কারণে। যথা : জন্ম, মৃত্যু ও _।
উত্তর : জনসংখ্যার হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে তিনটি কারণে। যথা : জন্ম, মৃত্যু ও দেশান্তর।
২৪. বাংলাদেশে শিশু _ অনেক বেশি।
উত্তর : বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুহার অনেক বেশি।
২৫. বাংলাদেশের লোকেরা _ বেশি পছন্দ করে।
উত্তর : বাংলাদেশের লোকেরা পুত্রসন্তান বেশি পছন্দ করে।
অধ্যায়-১১ : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
১. মহাস্থানগড় প্রাচীন বৌদ্ধ ও হিন্দু সভ্যতার _।
উত্তর : মহাস্থানগড় প্রাচীন বৌদ্ধ ও হিন্দু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ।
২. বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে _ নদীর পশ্চিমে মহাস্থানগড়ের অবস্থান।
উত্তর : বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিমে মহাস্থানগড়ের অবস্থান।
৩. কুমিল্লা জেলা শহরের প্রায় _ কিলোমিটার পশ্চিমে ময়নামতি অবস্থিত।
উত্তর : কুমিল্লা জেলা শহরের প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে ময়নামতি অবস্থিত।
৪. নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার অন্তর্গত _ গ্রাম অবস্থিত।
উত্তর : নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার অন্তর্গত পাহাড়পুর গ্রাম অবস্থিত।
৫. ইতিহাসখ্যাত সোনারগাঁও বর্তমানে _ জেলার একটি উপজেলা।
উত্তর : ইতিহাসখ্যাত সোনারগাঁও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা।
৬. প্রাচীন _ থেকে মুসলিম আমলের সোনারগাঁও নামের উদ্ভব।
উত্তর : প্রাচীন সুবর্ণগ্রাম থেকে মুসলিম আমলের সোনারগাঁও নামের উদ্ভব।
৭. মধ্যযুগে দীর্ঘসময় ধরে সোনারগাঁও ছিল দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গের _ কেন্দ্র।
উত্তর : মধ্যযুগে দীর্ঘ সময় ধরে সোনারগাঁও ছিল দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্র।
৮. চৌদ্দ শতকের শুরু থেকে _ একটি বাণিজ্য শহর হিসেবে গড়ে ওঠে।
উত্তর : চৌদ্দ শতকের শুরু থেকে সোনারগাঁও একটি বাণিজ্য শহর হিসেবে গড়ে ওঠে।
শিক্ষা জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা ছাড়া আত্মনির্ভরশীল, দক্ষ ও মর্যাদাসম্পন্ন জাতি-গঠন সম্ভব নয়। এই প্রত্যয় ও প্রণোদনা থেকেই জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণীত হয়। উক্ত শিক্ষানীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে নতুন এক জীবনাকাঙ্ক্ষা ও জীবন বাস্তবতার পটভূমিতে রচিত হয় নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের নতুন শিক্ষাক্রম। ২০১১ সালে প্রণীত এই শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্যকে যথাযথভাবে সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় শীর্ষক পাঠ্যপুস্তকটিতে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত এই পাঠ্যপুস্তকটির বিষয়বস্তু নতুন আঙ্গিক ও কৌশলে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্যপুস্তকটি প্রণয়নে সমাজ, ইতিহাস, পৌরনীতি, অর্থনীতি, ভূগোল ও জনসংখ্যার বিষয়গুলো স্বতন্ত্রভাবে উপস্থাপনের পরিবর্তে সমন্বিতভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ের সার্বিক অবস্থা অর্থাৎ ঐ সময়ের বাংলাদেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষিত সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভ করবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতি, নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে এবং এই জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন, মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন, দেশপ্রেম, মানবতাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ ও বিজ্ঞান-চেতনা ইত্যাকার অতীব তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভাববার সুযোগ পাবে। সুস্থ চিন্তার চর্চা ও পরিচ্ছন্ন জীবনবোধ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলাই এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া জাতীয় প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রচুর পাঠের ভার থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে স্বল্প ও সুন্দর আয়োজনের মধ্যে তাদের আনন্দিত বিচরণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়নকে আরও ফলপ্রসূ করার জন্য দেশের সুধীজন ও শিক্ষাবিদগণের পরামর্শের প্রেক্ষিতে ও সরকারি সিদ্ধামত অনুযায়ী প্রতিটি অধ্যায়শেষে অনুশীলনের জন্য নমুনা হিসেবে বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং তারা অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে এবং যেকোনো বিষয়কে বিচার-বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে পারবে। এছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাস্তব জীবনোপযোগী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য বিচিত্র কাজের আয়োজন রাখা হয়েছে। ‘অনুশীলনমূলক কাজ’ নামে অনুশীলনের এই অংশে শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত দক্ষতা, সৃজনশীলতা, রুচি ও সৌন্দর্যবোধের পরিচয় দিতে পারবে। গ্রন্থটিতে বানানের ক্ষেত্রে সর্বত্র অনুসৃত হয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রণীত বানানরীতি।
একবিংশ শতকের অঙ্গীকার ও প্রত্যয়কে সামনে রেখে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যপুস্তকটি রচিত হয়েছে ।শিক্ষাক্রম উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এর ভিত্তিতে পাঠ্যপুস্তক রচিত হয়। সম্প্রতি যৌক্তিক মুল্যায়ন ও ট্রাই আইট কাযক্রমের মাধ্যমে সংশোধন ও পরিমার্জিন করে পাঠ্যপুস্তকটিকে ত্রুটিমুক্ত করার হয়েছে –যার প্রতিপ্রলন বইটির বর্তমান সংষ্করণে পাওয়া যাবে।
পাঠ্যপুস্তকটি রচনা, সম্পাদনা, সৃজনশীল প্রশ্ন ও কর্ম-অনুশীলনমূলক কাজ প্রণয়ন ও প্রকাশনার কাজে আন্তরিকভাবে যাঁরা মেধা ও শ্রম দিয়েছেন, তাঁদের জানাই ধন্যবাদ। পাঠ্যপুস্তকটি শিক্ষার্থীদের আনন্দিত পাঠ ও প্রত্যাশিত দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করবে বলে আশা করি।