হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগ সারে না। এই চিকিৎসার নেই কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি, ঘোষণা করে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বন্ধ করে দিল ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস। আপাতত এই নির্দেশ লাগু হবে শুরু ইংল্যান্ডের উত্তর দিকের কিছু এলাকায়।
ব্রিটিশ গণরাজ্যের নাগরিকরা অসুস্থ হলে তাঁদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস। গ্রেট ব্রিটেনের তিনটি দেশ, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলস ছাড়াও নর্দান আয়ারল্যান্ডেও রয়েছে এই সংস্থা। তবে প্রত্যেকেই কাজ করে স্বাধীন ভাবে।
তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বিকল্প আধুনিক চিকিৎসা হিসাবে প্রচার করা হলেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আসলে কোনও রোগ সারে না। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মূল ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটিশ চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মূল ভাবনা হল, কোনও রোগীর উপসর্গের মাত্রা বাড়িয়ে দিলে সেই রোগ সেরে যায়। যেমন কারও শর্দি হলে তাঁর নাক ও চোখ দিয়ে জল পড়ে। তাঁকে যদি চোখের তলায় পেঁয়াজের রস লাগাতে বলা হয় তবে তাঁর জল পড়া আরও বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জল শর্দির উপশম হবে।
তাছাড়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আরেকটি প্রধান তত্ত্বকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। ব্রিটিশ চিকিৎসকদের মতে, হোমিওপ্যাথির তত্ত্ব অনুযায়ী কোনও ওষুধে যত জল মেশানো হবে তার কার্যক্ষমতা ততই বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকরা গবেষণায় দেখেছেন, এভাবে জল মেশাতে মেশাতে এক সময় মিশ্রণে ওষুধের কোনও উপস্থিতিই থাকে না। সেক্ষেত্রে কী করে সারতে পারে রোগ?
ব্রিটিশ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অসুখ-অসুখ বাতিক সারতে পারে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কেউ অসুস্থ হলে তা সারানোর ক্ষমতা হোমিওপ্যাথির নেই। ওষুধ খেলে অনেকের মানসিক জোর বৃদ্ধি পায়। তাতে শরীরের গ্রন্থিগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে এর ফলে অসুখ সারতে পারে। কিন্তু তাকে ওষুধ খেয়ে রোগ সেরেছে তা বলা চলে না।