মরুর দেশ আরব আমিরাতে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুঃসময় যেন আর কাটছে না । টি-২০ আর ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়ে অসহায় আত্মসমর্পণের পর টেস্টেও কোন ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না । অন্তত কাল থেকে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন আবারও ক্যারিবিয়ানদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে পাকিস্তান । দুবাই টেস্টের প্রথম দিন শেষেই চালকের আসনে রয়েছে মিসবাহ উল হকের দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গোলাপী বলের টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম দিন শেষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। দিনের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হল পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সামি আসলাম ।
এই টেস্টটি দুই দলের জন্যই দারুণ এক মাইল ফলক । বিশেষ করে পাকিস্তানের জন্য । এই টেস্ট তাদের ইতিহাসের ৪০০ তম টেস্ট । এছাড়া ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় দিবারাত্রির টেস্ট । গত নভেম্বরে এডিলেড ওভালে ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টে অংশ নিয়ে এরমধ্যেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড । এবার পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম লেখা হল তাদের পরের স্থানেই ।
দুপুর টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আজহার আলি ও সামি আসলাম । উদ্বোধনী জুটিতে এই দুজন ২১৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়লে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান।
গত ৫০ বছরে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওপেনিং জুটিতে পাকিস্তানের দ্বিতীয়বারের মতো ১৫০ এর বেশি রান তোলার রেকর্ড এটি। সব মিলিয়ে টেস্টে ওপেনিং জুটিতে পাকিস্তানের এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
সেঞ্চুরি থেকে মাত্র দশ রান বাকি থাকতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হন দারুণ খেলতে থাকা সামি । ব্যক্তিগত ৯০ রানে চেইজের বলে আউট হন তিনি ।
তবে সামি আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আরেক ওপেনার আজহার আলি । দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসাদ শফিককে সাথে নিয়ে তিনি জুড়ে দেন অবিচ্ছিন্ন ১৩৩ বলে ৬৪ রান ।
প্রথম দিন শেষে আজহার আলি ২৬৮ বলে ১৪৬ ও আসাদ শফিক ৬৬ বলে ৩৩ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন।
পাকিস্তানের হয়ে মাত্র ৫০ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১১ সেঞ্চুরি তুলে নেন আজহার। পাকিস্তানের হয়ে ৫০ টেস্টে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করেছেন কেবল হানিফ মোহাম্মদ ও ইউনিস খান (১২টি করে)। মোহাম্মদ ইউসুফ আজহারের সমান ১১টি সেঞ্চুরি করেন।