আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

ভারতে সিনেমার টিকেটে বসবে ২৮% কর!

এমনিতেই ধুঁকছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। তার উপর জিএসটি-র ধাক্কায় আরও কোণঠাসা অবস্থা। গত শনি, রবিবার ধরে নানা রকম গুজব সরগরম করে রাখল বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে। জিএসটি-র বিরোধিতা করে বাংলা ছবির প্রদর্শন বন্ধ রাখছেন হল মালিকরা, এই রকম কথা ভেসে বেড়াচ্ছিল। যদিও বাস্তবে কিছুই ঘটেনি। মাল্টিপ্লেক্স থেকে সিঙ্গল স্ক্রিন সর্বত্রই বাংলা ছবি চালানো হয়েছে। অনেকে নতুন কর ব্যবস্থা অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করেছেন। অনেকে আবার পুরনো নিয়মেই।

আইনক্স যেমন জানাচ্ছে, তারা নিজেদের সফটওয়্যার বদলে ফেলেছে, তাই নতুন নিয়মেই শনিবার থেকে টিকিট বিক্রি করেছে আইনক্স। প্রিয়া হলের মালিক অরিজিৎ দত্ত জানালেন, শনিবার তিনি নতুন নিয়মে হিন্দি ছবির টিকিট বিক্রি করেছেন আর রবিবার থেকে বাংলা ছবির টিকিটও জিএসটি অনুযায়ী বিক্রি হয়েছে। তবে অনেক সিনেমা হলই নতুন নিয়ম আপডেট করতে না পারায় পুরনো দামেই টিকিট বিক্রি করেছে। জেলার সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলে সফটওয়্যার আপডেট না করায়, আগের ব্যবস্থায় টিকিট বিক্রি হয়েছে।

জিএসটি অনুযায়ী যে সব সিনেমার টিকিটের দাম ১০০ টাকার বেশি, সেখানে ২৮ শতাংশ কর বসবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ১৪ শতাংশ করে ভাগ। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুরনো নিয়ম মেনে বাংলা ছবিতে নিজেদের ভাগের কর ২ শতাংশই রেখেছে। বাকিটা ভর্তুকি বলা হচ্ছে। আর ১০০ টাকার কমের টিকিটে জিএসটি বসবে ১৮ শতাংশ। কেন্দ্র-রাজ্যের ভাগ ৯ শতাংশ করে। সেখানেও এই রাজ্য নিজেদের কর ২ শতাংশই রাখছে। তবে গোলমাল অন্য জায়গায়। এই ভর্তুকি আসলে প্রাথমিক ভাবে হল মালিকদেরই দিতে হবে। রাজ্য সরকার পরে সেটা ফিরিয়ে দেবে। হল মালিকরা মনে করছেন, সমস্যাটা সেখানেই। ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর শ্যামল দত্ত বলছিলেন, ‘‘সরকারি নোটিফিকেশনে এই ব্যাপারটা স্পষ্ট করে দিলে ভাল হতো।’’ তাই তাঁরা ভর্তুকির টাকা কী ভাবে পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন। সোমবার পর্যন্ত দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু সোমবারের পরও ধোঁয়াশা থাকলে কী হবে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হল মালিক জানালেন যে, তাঁরা সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামবেন না। তবে বাংলা ছবির বদলে সব ক’টা শোয়েই হিন্দি ছবি চালাবেন। যাতে নিজেদের ঘর থেকে ভর্তুকির টাকা দিতে না হয়। জিএসটি নিয়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি প্রথম দিকে সরব হলেও এই মুহূর্তে কেউ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ইম্পা একটি প্রতীকী বন্‌ধ ডাকতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে তাতে আসল সমস্যার সমাধান হবে কি?

খবর - আনন্দবাজার পত্রিকা