খুশকি অতি সাধারণ একটি সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ উৎপন্ন হবার পাশাপাশি পুরনো কোষ ঝরে পড়তে থাকে। এই পুরনো মৃত কোষগুলোই হচ্ছে খুশকি। কিন্তু গোল বাঁধে তখনই যখন পুরনো ও মৃত কোষগুলো ঠিকভাবে ঝরে পড়তে না পেরে জমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে ফাঙ্গাস সংক্রামিত হয়। তখনই জামার কাঁধে সাদা সাদা আপদগুলো খুশকিরুপে ঝরে এবং মাথা চুলকায়। মাথার ত্বকের এই কোষ উৎপত্তি হওয়া ও মৃত কোষ ঝরে পড়া একটি নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। সেহেতু অনেকেই বছরের পর বছর ভুগতে পারেন খুশকি বিড়ম্বনায়। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেশ কিছু সহজ উপকরণে খুশকির আধিক্য রোধ করতে পারি আমরা।
চলুন জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাথার খুসকি দূর করার উপায় –
১/লবণ-লবণ কিন্তু খুশকির যম। মাথায় শ্যাম্পু করার সময় কিছুটা লবণ মাথায় ছিটিয়ে নিয়ে আলতো হাতে ঘষুন। উপকার পাবেন নিশ্চয়ই।
২/রসুন-উপরেই বলেছি খুশকি মূলত ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। ফাঙ্গাস দূর করতে রসুন বাটা ব্যাবহার করতে পারেন। তবে রসুনের গন্ধ আপনার কাছে ভালো নাও কাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাটা রসুনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ক্ষানিক খন রেখে দিন।
৩/মেথি-মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। মাথায় মেখে রাখুন আধঘণ্টা। তারপর শ্যাম্পু যোগে মাথা ধুয়ে নিন ভালো করে।
৪/বিট-গোটা বিট সেদ্ধ করে সেই পানি মাথায় ঢালুন ও ম্যাসেজ করুন।
৫/ডিমের সাদা অংশ-ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেক পাতি লেবুর রস, নিম পাতা ও আদার রস মিশিয়ে চুলের গোঁড়ায় মাখুন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন।
৬/পেঁয়াজের রস-পেঁয়াজের রস খুশকি বিনাশী। পেয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেকে নিন। মাথায় মেখে আধঘণ্টা ধৈর্য ধরে বসে থাকুন। সপ্তাহে ২ বার করে চালিয়ে যান। ফল পাবেন দ্রুতই।
৭/অ্যালোভেরা-তাজা অ্যালোভেরার কস মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মাসে একবার করে করুন।
৮/আপেল সিডার ভিনিগার-সপ্তাহে একবার আপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে মাথার চুল ধুয়ে নিন।