ইদানীং আমরা বিক্রয় ডট কম, সেল বাজার কিংবা বিডি হাট থেকে অনেক সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিষই ক্রয় করে থাকি। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ পেতে আমাদের এই উদ্যোগ। কিন্তু আমি আপনাকে আজ যে টিপসগুলো দেবো তা আশাকরি আপনার অনেক কাজে লাগবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রডাক্টেরও ক্রয় টিপস দেবো।
টিপস নং ০১:
দাম এবং কনফিগারেশনের মধ্যে যৌক্তিক ডিফারেন্স না পেলে কখনই সেই সেলারের সাথে কন্টাক্ট করবেন না। কারন অনেক সময় দেখা যায় কোর আই ফাইভ অথবা কোর আই সেভেন ল্যাপটপ অত্যন্ত কম মূল্যে পাওয়া যায়। যেমন ২০.০০০/= অথবা ২৫,০০০/= টাকায়। এক্ষেত্রে আপনার প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
টিপস নং ০২:
যথাসম্ভব আপনার রেসিন্ডেন্টশিয়াল এলাকার মধ্যে থেকে ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। যেমন আপনি ধানমন্ডি থাকলে ধানমন্ডি থেকেই কেনার চেষ্টা করুন। কিন্তু আপনি যদি উত্তরাতে থাকেন তবে যাত্রাবাড়ি থেকে কোন প্রডাক্ট কিনতে যাওয়া একটু রিস্ক বটে।
টিপস নং ০৩:
প্রথমেই ল্যাপটপ চার্জ নেয় কিনা তা চেক করার জন্য কারেন্টের সাথে প্লাগ ইন করবেন। ফলে চার্জার ওকে কিনা তা নিশ্চিত হতে পারবেন।
টিপস নং ০৪:
চার্জার কারেন্টের থেকে আন প্লাগ করে দেখুন ল্যাপটপ ব্যাকআপ কতক্ষণ নেয়। অনেক সময়ই দেখা যায় সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপে ব্যাটারী ডাউন থাকে। তাই প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন ব্যাটারী ভাল ব্যাপআপ দেয় কিনা।
টিপস নং ০৫:
এরপর দেখুন ল্যাপটপের টাচ বাটন (মাউস) ভালভাবে কাজ করে কিনা। ওয়াইফাই বাটন এবং ব্লুটুথ (যদি থাকে ) ঠিক ভাবে কাজ করে কিনা।
টিপস নং ০৬:
কিবোর্ড ঠিকভাবে কাজ করে কিনা তা চেক করার জন্য নিচের সেন্টেন্সটা পুরা টাইপ করুন
a quick brown fox jumps over the lazy dog, 1234567890 & Arrow Keys. Finally // keys, ENTER button, Esc Button.
কোন একটা কি নষ্ট থাকলে সেটা সাড়াতে আপনার ১০০০/= টাকা লাগবে।
টিপস নং ০৭:
ল্যাপটপের ডিসপ্লেতে কোন প্রবলেম আছে কিনা দেখে নিন। ল্যাপটপের ঝাপটা উঠান এবং নামান। ওটার কারনে ডিসপ্লেতে কোন প্রবলেম থাকলে আপনি নিজেই ধরতে পারবেন।
টিপস নং ০৮:
হার্ডডিস্ক ভাল আছে কিনা তা জানার জন্য ল্যাপটপেরই কিছু ডাটা (৫০০ এমবি/২০০ এমবি) কপি করে প্রত্যেকটা ড্রাইভে পেষ্ট করে দেখুন। কোন প্রবলেম কোন ড্রাইভে থেকে থাকলে ফাইল কপি হবে না।
টিপস নং ০৯:
ওয়েব ক্যাম ভালভাবে কাজ করে কিনা দেখে নিন।
টিপস নং ১০:
কার্ড রিডার ওকে আছে কিনা দেখে নিন। সাথে ডিভিডি রম/রাইটারও ঠিক আছে কিনা তা কোন ডিস্ক ঢুকিয়ে চেক করে নিন।
টিপস নং ১১:
ফটোশপ অথবা কোন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার লোড দিয়ে দেখুন ল্যাপটপ হ্যাং করে কিনা।
টিপস ১২:
কোন অডিও এবং ভিডিও গান বাজিয়ে চেক করে নিন স্পিকার ওকে আছে কিনা।
টিপস ১৩:
সবথেকে ইমপরটেন্ট হলো, মাদারবোর্ডের ড্রাইভার ডিস্ক আছে কিনা। এটা অনেক সময় থাকে না। দোকানে নিয়ে গেলে ওরা শুধু আপনাকে সেটআপ দিয়ে দেবে। কিন্তু ডিস্ক কপি করে দেবে না। ফলে কোন প্রবলেম হলেই দোকানদার আপনার কাছ থেকে প্রতিবার নূ্ন্যতম ৫০০/= টাকা টুপাইস ইনকাম করবে।
টিপস ১৪:
এটাই শেষ এবং সবথেকে ইমপরটেন্ট টিপস। আর তা হলো এই, সেইম মডেলের ল্যাপটপের বর্তমান মার্কেট প্রাইস কতো তা দোকানে গিয়ে আগেই জেনে আসুন। তাহলে দামের দিক থেকে অনন্ত ঠকবেন না। তবে মার্কেট আউট প্রডাক্ট না কেনাই ভালো।
সেলার চাবে সব সময় বেশী দামে বিক্রি করতে। আপনি চাবেন রিজোনেবল প্রাইসে কিনতে। তাই দামাদামি করে রিজোনেবল প্রাইসে ক্রয় করার চেষ্টা করুন। মধ্যবিত্ত সেলারের থেকে ধনী সেলারের কাছ থেকে কেনার চেষ্টা করুন। কারন তারা টাকাকে টাকা মনে করে না। মধ্যবিত্ত সেলারের এটাই শেষ সম্বল বিধায় সে আকাশ কুসুম দাম চেয়ে বসে থাকবে। ধনী সেলারের এই দাম নিয়ে মাথা ব্যাথ্যা কম থাকে।
শেষ কথাঃ সব দিক পছন্দ হলে তবেই কিনুন। ক্যাশ দিয়ে যেহেতু কিনছেন তাই ল্যাপটপ কেনার সময় প্রয়োজনীয় ওয়্যারেন্টি কার্ড, মানি রিসিপ্ট (যদি থেকে থাকে) নিয়ে নিন। আর এগুলো না থাকলে সেলারের কাছ থেকে সাদা কাগজে কনফিগারেশন বর্ণনা সহ আপনি যে ল্যাপটপটা তার কাছ থেকে কিনেছেন তার একটা স্বাক্ষর নিয়ে নিন।