মেছতা মুখের ত্বকে বাইপার পিগমেন্টেশন অর্থাৎ অস্থায়ী বিবর্ণতা। কপালে, গালে ও ঠোঁটের ওপরে, চিবুকে কালো বাদামি ছোপ ছোপ মেছতার দাগ দেখা দেয়। এই দাগগুলো দিন দিন বাড়তে থাকে ও সূর্যের রশ্মি পড়লে দাগ গাঢ় হয়ে যায়। এতে আপনার সুন্দর মুখটা বিশ্রী দেখায়। দামি প্রসাধনী মেখেও কিছুতেই দাগ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেয়েদের এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের সমস্যা থাকলে সাধারণত মেছতা দেখা দেয়। বংশগত, গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, হরমোন প্রতিস্থাপন, অ্যাড্রিনাল ক্লান্তির কারণে মেছতা হতে পারে। ছেলেদের মেছতা খুব কম হয়। মেছতা সমস্যা সমাধানে পার্লারে গিয়ে বড় অংকের টাকা খরচ করা আপনার জন্য কষ্টকর। তাহলে বসে থাকলে তো চলবে না, সমস্যার সমাধান চাই।
মেছতা দূর করতে বিশেষজ্ঞরা দুইটি ঘরোয়া প্যাকের কথা বলেছেন। আসুন সেই ঘরোয়া প্যাক তৈরির প্রস্তুত প্রণালী জেনে নিই :
প্যাক (১) : ৫ চা চামচ হলুদে ১০ চা চামচ তরল দুধ ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ বেসন মিশিয়ে মিশ্রণটি ঘন করে নিন। এই মিশ্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এটা ব্যবহার করুন। এক সপ্তাহে মেছতা হালকা হয়ে যাবে।
প্যাক (২) : পুরো রাত ৫-৬টি বড় কাঠবাদাম আধা কাপ দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই দুধে ভেজানো কাঠবাদাম মিহি করে বেটে নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাতে ঘুমুতে যান। পুরো রাত এভাবেই ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ত্বক ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন ১ বার করে প্রায় ২ সপ্তাহ ব্যবহার করুন। তবে আপনি এক সপ্তাহেই এর ভালো ফলের প্রমাণ পাবেন।
সাবধানতা : প্যাক তৈরির সময় গুঁড়ো দুধ না, তরল দুধ নিন। কারণ তরল দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম মেছতার দাগ দূর করতে কার্যকরী।