নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপির আলোচনা শেষ হয়েছে। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সার্চ কমিটি গঠন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনে পৌঁছায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটের দিকে আলোচনা শুরু করে বিএনপির প্রতিনিধি দল।
আগামী ফেব্রয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। হিসাব অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়ে গত ২১ নভেম্বর একটি প্রস্তাব দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এরই মধ্যে গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পৌঁছে দেয় বিএনপি।
তবে বিএনপির দেয়া ওই প্রস্তাব সরকার প্রত্যাখ্যান করলেও জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। এবং আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে।
খালেদা জিয়ার কয়েকদিন পর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে গত ২৬ নভেম্বর কয়েকটি প্রস্তাব দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও। ৫ দফা দাবি জানিয়ে নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারসহ ভোটের আনুপাতিক হারে আসন বন্টনের প্রস্তাবও দেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার পর ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি বসবেন জাতীয় পার্টির সঙ্গে।
এরপর ২১ ডিসেম্বর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগকে এবং ২২ ডিসেম্বর জাসদ (ইনু)র সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাষ্ট্রপতি।