আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘প্রবল’ সংঘর্ষ শুধু সময়ের অপেক্ষা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তাঁর মাথাব্যথা বাড়িয়েই চলেছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যে কোনও মুহূর্তে চরম সংঘাতে যেতে পারে ওয়াশিংটন, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের। তবে আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার দ্বন্দ্বের জন্য এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে যে ডামাডোল তৈরি হয়েছে, সেটা শান্তিপূর্ণভাবেই মেটাতে চান বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

নিজের দফতরে ১০০ দিন কাটানোর পর এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন-সহ আন্তর্জাতিক মহলের সমস্ত চাপ উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যেভাবে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেই চলেছে তাতে তিনি উদ্বিগ্ন। গত ১৫ এপ্রিল পিয়ংইয়ং তাদের সেনাবহরের শক্তি প্রদর্শন করেছে। কিম ইল সাংয়ের ১০৫ তম জন্মবার্ষিকীতে রাজধানীর রাস্তায় বিশাল কুচকাওয়াজের আয়োজন করেন উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবাজ নেতা কিম জং উন।

পাল্টা ওয়াশিংটন জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে পৌঁছে যাবে মার্কিন বিমানবাহী সুবিশাল রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। উত্তর কোরিয়ার হুমকি ও আগ্রাসনের মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া চালাবে কার্ল ভিনসনে মোতায়েন কয়েক হাজার মার্কিন মেরিন। উত্তেজনা বাড়তেই দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে পৌঁছে গিয়েছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে বোঝাই একটি অত্যাধুনিক মার্কিন সাবমেরিন। এটি পরমাণু শক্তিচালিত।

সম্প্রতি মার্কিন হামলা রুখতে কামান দেগে যুদ্ধের চূড়ান্ত মহড়া চালায় উত্তর কোরিয়া। উত্তরের চিরশত্রু দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নহাপ সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, নিজেদের সামরিক বাহিনীর ৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সর্বকালের বৃহত্তম’ যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়ার লালফৌজ। তবে গোটা দুনিয়ার কড়া নজর ছিল, ফের পিয়ংইয়ং কোনও পরমাণু বোমা বা হাইড্রোজেন বোমা বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় কি না। কিন্তু সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবসে সেরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ।

সূত্রের খবর, উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব বন্দর শহর ওনসান ও পশ্চিমের উপকূল বরাবর দুটি সামরিক এলাকায় কয়েক শো হাউইৎজার কামান, অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট গান, দূরপাল্লার কামান, শতাধিক ভারী ট্যাঙ্ক, বাজুকা, মেশিগান নিয়ে ব্যাপক যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে। একসঙ্গে দুটি-তিনটি জায়গায় নজিরবিহীনভাবে এই মহড়া চলে। সম্ভাব্য মার্কিন হামলা রুখতেই ‘প্রথাগত অস্ত্রশস্ত্র’ নিয়ে এই মহড়া যুদ্ধের চূড়ান্ত মহড়া বলে বর্ণনা করেছে সে দেশের কমিউনিস্ট সরকার।