আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

জয় নিয়ে ঘরে ফিরতে বললেন খালেদা জিয়া

নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরতে দলীয় নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমি আশা করি, দল ও জোটের নেতা–কর্মী ও জনগণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচনী ফলাফল শেষে বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবেন।’

আজ সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সারা দেশের মতো নারায়নগঞ্জের অধিবাসী এবং বিরোধী দলের নেতা–কর্মীরা জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুন, হামলা, মামলা, হয়রানি, দখল, দলীয়করণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসসহ নানা ধরনের অন্যায়ের শিকার। এখানকার বাসিন্দাদের একেকটি ভোট হবে এসবের বিরুদ্ধে একেকটি বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। আশা করি, নারায়নগঞ্জে ২২ ডিসেম্বর ভোটাররা নীরব ভোটবিপ্লব ঘটাবেন।’

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও ধানের শীষের পক্ষে নারায়নগঞ্জ এ ইতিমধ্যে যে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা জেনে আমি আনন্দিত। আমার আবেদন, ভোটের বাক্সে এই সমর্থনের প্রতিফলন ঘটান। নতুন ভোটার, মা-বোন, মুরব্বি এবং হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকসহ সবার প্রতি আমার আবেদন, সময়মতো ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দেবেন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করবেন। মনে রাখবেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আপনাদের ভোট দেওয়ার ও অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং শান্তি স্থাপনে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

দলীয় প্রার্থী সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এই নির্বাচনে নারায়নগঞ্জের বিশিষ্ট আইনজীবী, সজ্জন ও সাহসী ব্যক্তি সাখাওয়াত হোসেন খানকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তিদের কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের আলাদা মার্কা রয়েছে। তবে মেয়র পদে সাখাওয়াত হোসেনের মার্কা ‘ধানের শীষ’। এই ধানের শীষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও তাঁর প্রতীক।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচন চলাকালীন নির্ভয়ে ভোট দিতে এবং কোনো রকম হুমকির মুখে না পড়তে সেনা মোতায়েন দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত সরকার–সমর্থিতদের দ্বারা বিরোধী দলের প্রার্থীদের কিছু ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও বড় রকমের কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল এবং সর্বোপরি ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভোটের দিন এবং এর আগে–পরে পুরো নারায়নগঞ্জ এ যেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ বজায় থাকে। তিনি নেতা–কর্মী–সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং যেকোনো উসকানির মুখে সংযম ও শান্তি অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ার পার্সন বলেন, মামলা মোকদ্দমার হাজিরা, শারীরিক অসুস্থতা ও অন্যান্য ব্যস্ততা এবং সমস্যার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সশরীরে এই নির্বাচন উপলক্ষে নারায়নগঞ্জবাসীর মধ্যে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি।